এস দাস, নৈহাটি, এইকাল নিউজ : ২৪-০ ভোটে নৈহাটি পুরসভা পুনর্দখল করে ব্যারাকপুর মহকুমার বুকে ফের আধিপত্য বজায় রাখল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সকাল ১১টায় উত্তর২৪ পরগণার বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে নৈহাটি পুরসভার আস্থা ভোট করা হয়।
এর আগে নৈহাটি পুরবোর্ডের ৩১ আসনই ছিল তৃণমূলের। ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক কাউন্সিলররা । সেই সময়ই দলত্যাগ করেছিলেন নৈহাটি পুরসভার ১৯ জন কাউন্সিলরও। এরপরই ১৮ জন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। তৃণমূল কাউন্সিলরদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩। এরপরই নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসায় রাজ্য সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে বিজেপি। এরপর ফের দলে ফেরেন ১০ তৃণমূল কাউন্সিলর। ২৫ সেপ্টেম্বর বিজেপির করা সেই মামলার রায় দেয় আদালত। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ২১ দিনের মধ্যে জেলাশাসকের কার্যালয়ে আস্থা ভোট করাতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর জেলাশাসককে চিঠি দেন পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় । এরপরই ১৬ অক্টোবর ভোটের দিন ধার্য করেন জেলাশাসক।
আজ আস্থাভোট ঘিরে যে কোনোও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছিল বারাসত জেলাশাসকের কার্যালয়। আস্থা ভোট চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক কর্মীকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
নৈহাটি পুরসভার মোট ৩১জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৪জন তৃণমূল কাউন্সিলর বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে হাজির হন। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর ভোটে অংশ না নেওয়ার ফলে ২৪-০ ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে শাসকদল। নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘যাদেরকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁরা সেই ভয়কে জয় করে আবার নিজেদের ঘরে ফিরে এসেছেন।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বিজেপি যতই চেষ্টা করুক রাজ্যজয় করতে পারবেনা, কারণ তারা পুরসভাতেই জিরো।’
ফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত দলীয় কর্মীরা। প্রথম থেকেই এই জয় নিশ্চিত ছিল, দাবি পুরপ্রধানের।