২৭ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি নৈহাটি উৎসব ও বইমেলা। এইকাল সপ্তাহিকও সামিল ছিল এই কর্মযজ্ঞে। সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের খন্ডচিত্ৰ।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য 30 ডিসেম্বর দেশের বর্তমান অর্থনীতি বিষয়ক এইকাল-এর আলোচনা চক্র। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ থেকে সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। আলোচনা চক্রের সংযোজনায় ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেণ্য অধ্যাপক ড.উদয়ভানু ভট্টাচার্য। সভাপতিত্ব করেন বঙ্কিম ভবন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ড.রতন কুমার নন্দী।বইমেলার ফাঁকে বইমেলা মঞ্চের সামনে, এইকাল এর স্টলের পাশে চায়ের আড্ডায় ছিলেন নৈহাটি বইমেলার অন্যতম উদ্যোক্তা গিল্ড কর্তা ত্রিদিপ চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, বঙ্কিমভবন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ তথা বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ-এর সম্পাদক অধ্যাপক ড. রতনকুমার নন্দী শিক্ষক সুব্রত বাবু প্রমুখ।নৈহাটি উৎসবের বইমেলা প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়েছিলেন সমস্ত পত্রিকার সম্পাদক। নবীন- প্রবিনের মেলবন্ধনে ফ্রেমবন্দি ছিলেন পরিপ্রশ্নের সম্পাদক বঙ্কিম দত্ত, সংবাদ পরিবর্তনের মহন্ত দাশগুপ্ত, খোলা হাওয়া পত্রিকার চন্ডিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কো-লার্জ পত্রিকার তরুনকান্তি নাথ, ভ্রামণিক পত্রিকার নিশিথ চক্রবর্তী, অশনি সংকেত পত্রিকার কিশোর কুমার সাহা, এইকাল পত্রিকার পক্ষে আমি, অগ্নিবীণা পত্রিকার চিরন্তন দে, লেখা দিয়ে রেখাপাতের পক্ষে উজ্জ্বল গোস্বামী। বইমেলার পাশাপাশি আঞ্চলিক পত্র পত্রিকার স্টলে ছিল উপছে পড়া ভিড়।
মেলার শেষ দিন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে উৎসাহ নিয়ে নৈহাটি লিটলম্যাগাজিন সমন্বয় সমিতির সমস্ত সম্পাদকরা একত্রিত হয়ে চলেছে জমজমাট আড্ডা। বেশ কিছু প্রস্তাব উঠে এসেছে মঞ্চ থেকে।যা আরও সমৃদ্ধ করবে সমন্বয় সমিতিকে। শেষে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সমাপ্ত হল এই উৎসব।সত্যি এ এক দারুণ স্মরণীয় মুহূর্ত।সব মিলিয়ে জমজমাট কাটল গোটা সপ্তাহ।