রাজনৈতিক সংবাদদাতা, এইকাল নিউজ:লকডাউনের সময় জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বেরলেও পুলিশের হাতে হেনস্থার একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। যেমন হাওড়ার সাঁকরাইলের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সন্তানের জন্য দুধ কিনতে গিয়েও পুলিশের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে। পোস্তা এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীও বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছিলেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময়ও পোস্তা থানার পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বীজপুর থানার পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এইসব অনভিপ্রেত ঘটনা জেনে ইতিমধ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সেই ব্যাপারে প্রথম কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য। এদিন নবান্নে পুলিশ এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
লকডাউনের সময় রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রায় ১২টি অভিযোগ জমা পড়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশকে মানবিক হতে হবে। যাঁরা বাজারে যাচ্ছেন, বা ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন বা প্রয়োজনীয় কাজে নিযুক্ত এমন মানুষকে ছেড়ে দিতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা চলবে না।’
মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছেন। খবরে প্রকাশ ইতিমধ্যেই মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে কমপক্ষে আটজন পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন কেউ এই মারণ ভাইরাস নিয়ে অযথা গুজব না ছড়ায় সেব্যাপারেও রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এবং আইসিএমআর–এর নির্দেশিকা মেনেই বাংলায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ঘোলা, খড়দহ, টিটাগড়, নোয়াপাড়া, নৈহাটিসহ প্রায় সব থানাই নজরকাড়া কাজ করে চলেছে। মানুষের স্বার্থে এইসব থানার আইসিরা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন বলে খবর। কিন্তু ব্যতিক্রম বীজপুর থানা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বীজপুর পুলিশ এর ‘বেপরোয়া’ লাঠি চালানোর ঘটনা ছড়িয়েছে। আর তা নিয়েই এলাকায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে।