শোভনলাল রাহা,এইকাল নিউজ:করোনা মোকাবিলায় অভিনব কায়দায় একগুচ্ছ উদ্যোগ নিল নোয়াপাড়া থানার আইসি স্বপন সাহা। এইকাজে সারথীর মতো এগিয়ে এসেছেন থানার সেকেন্ড অফিসার সাব ইন্সপেক্টর সুমিত বৈদ্যসহ গোটা ইউনিট।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত প্রায় সব থানাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে জনস্বার্থে করোনা প্রতিরোধ ও লকডাউন পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা দিতে মাঠে নেমেছে। কিন্তু এরই মধ্যে আরও কয়েক কদম এগিয়ে নোয়াপাড়া থানা ।
এই থানার পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে ১৭ দফা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেগুলি হলো –
এক) লকডাউনের প্রায় দিন দশেক আগে থেকে থানায় আসা সকল মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয় । দুই) থানায় আসা সবাইকে হাত ধুয়ে এবং কাগজের তৈরি তাৎক্ষণিক মাস্ক পরিয়ে থানার মধ্যে প্রবেশ করানো হয় ।এমনকী ধৃত অভিযুক্তদেরও ।
তিন) মানুষকে অযথা ভয় পেতে ও গুজব ছড়াতে নিষেধ করা হয়।
চার) সমস্ত ফেরিঘাট, বাসস্টপ,বাজার, স্কুল, রেলস্টশন,ব্যাঙ্কে সচেতনতামূলক পোস্টার দেওয়া হয় ।
পাঁচ) ব্যাঙ্ক, বাজার প্রভৃতি জায়গায় নিজেরা গিয়ে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয় ।
ছয়) সারা এলাকায় বহুবার মাইকিং করা হয় সচেতনতা বাড়াতে।
সাত) থানার অফিসাররা ব্যাঙ্কে গিয়ে তাৎক্ষণিক মাস্ক তৈরি শিখিয়ে দিয়ে আসেন
আট) অভিনবভাবে সচেতনতামূলক অ্যাপ্রন পরিহিত পুলিশ বাইকে, পায়ে হেঁটে প্রচার করেন।
নয়) পুলিশগাড়ির গায়ে করোনা সচেতনতার পোস্টার লাগানো হয়
দশ) থানার নিজস্ব ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয় ।
এগারো) এলাকার সমস্ত মন্দির ও মসজিদে গিয়ে গিয়ে সচেতন করা হয় ।
বারো) সব ইমামকে রাস্তায় নামিয়ে প্রচার করা হয় ।
তেরো) পুলিশের টহল, নাকা চেকিং বাড়ানো হয় ।
চোদ্দ) খবর পেলেই সিনিয়র সিটিজেনদের অসুবিধা দূর করা হয় ।
পনেরো) লকডাউন ভঙ্গকারীদের গ্রেফতার করা হয় ।
ষোল) ব্যক্তিগত উদ্যোগে সব রিকশাচালক, রেল বস্তির মানুষ, প্লাটফর্মের ভিখারি, দিনমজুরদের নিজেদের ও স্থানীয় কিছু মানুষের সহযোগিতায় খাদ্য বিতরণ করা হয়।
সতেরো) এখানে আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয় ।
আর এসবের জন্যই নোয়াপাড়া থানার ভূমিকার প্রশংসা শোনা গিয়েছে এলাকাবাসীর মুখে।