রিমা দাস, এইকাল নিউজ:
বর্তমানে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় উচিত সহযোগিতার। রোগীদের চিকিৎসার জন্য সমস্ত হাসপাতালগুলোকে এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে। কোন রোগীকে ফেরত দেওয়া যাবে না। সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে হাসপাতাল গুলিকে। কোন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হবে তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশ মত কাজ করতে হবে। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে যদি কেউ সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাহলে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধিতা করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, ‘কোথায় কোন হাসপাতাল তৈরি হবে, তা সরকার ঠিক করবে স্থানীয় বাসিন্দারা নয়।’ একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষকে একটু মানবিক হওয়ার আবেদন জানান।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘আমার কানে আসছে অনেকেই তার নিজের এলাকায় করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল করতে দিতে চাইছেন না। সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা হবে না বলে স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা ঠিক করবেন নাকি কোথায় হাসপাতাল হবে। এটা সরকার এবং প্রশাসন ঠিক করবে। কেন্দ্রের মহামারী আইন অনুযায়ী সরকার যেকোনো সরকারি হাসপাতাল স্কুল-কলেজ ব্যবহার করতে পারে। আমরা মানবিক।’
অন্যদিকে ধাপায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহ সৎকার নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ চায়না তার পাড়ায় করো না হাসপাতাল হোক কেউ চায় না তার পাড়ায় করো না রোগীকে দাহ করা হোক। কিন্তু আমরা মানবিক। মনে রাখবেন মরে গেলে জীবাণু থাকে না এটা স্বাস্থ্য দফতর বলেছে।’ তার কথায়, ‘করোনা হলে সেবা দেব না তা হয় না। অনেক হাসপাতাল এরকম রোগীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে কিন্তু তা করলে হবে না সেবা দিতে হবে। এটা অনেক বড় লড়াই। এর আগে অনেক লড়াই এসেছে। এই লড়াই জিততে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘অনেক ভেবে জেলা গুলোতে হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালে কিছু বেডে করনা রোগী থাকবে সে ক্ষেত্রে ছোঁয়া লেগে বাকিদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তার থেকে ভালো একটা সম্পূর্ণ হাসপাতাল তৈরি করা হোক যেখানে কেবলমাত্র করো না রোগীদের চিকিৎসা করা হবে। তাই বাঙ্গুড় হাসপাতালকে এখানে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাঙ্গুড় হাসপাতালের রোগীদের এনআরএস, পিজি, শম্ভুনাথ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।’