রিমা দাস, এইকাল নিউজ:
করোনা সতর্কতায় অপরিহার্য মাস্ক। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনার থাবা পড়তেই আকাল দেখা দিয়েছে মাস্কের। এর সঙ্গেই শুরু হয়েছে কালোবাজারি। এই অবস্থায় মাস্কের যোগানে উদ্যোগী হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সস্তায় নগরবাসীর কাছে মাস্ক পৌঁছে দিলেন যাদবপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।গামছা আর শাড়ির কাপড়ের টুকরো দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই মাস্ক। যা পাওয়া যাচ্ছে অত্যন্ত সস্তায়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সামর্থ্যের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা। এমনটাই বক্তব্য ছাত্র ছাত্রীদের। তবে শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীরাই নয়, এই কাজে এগিয়ে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকারাও। এই মাস্ক তৈরির কাজ তদারক করেছেন যাদবপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক স্বর্ণেন্দু সেন।
লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই নিজেদের বাড়ি বসেই এই কাজ করছেন যাদবপুরের সেন্টার ফর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট সোশ্যাল টেকনোলজিসের অধ্যাপক-গবেষকরা। এমনকী, বাড়িতে বসেই এই কম দামের মাস্কের ওপর পরীক্ষাও চালিয়েছেন তাঁরা। তারপরেই এই মাস্ক বাজারে পাঠাতে উদ্যোগী হন অধ্যাপকরা। সেই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াও।
এদিন এবিষয়ে অধ্যাপক স্বর্ণেন্দু সেন জানান, ‘বাজারের জন্য ব্যবহৃত এক রকমের ব্যাগে পলিপ্রোপাইলিন থাকে যা জল আটকাতে সাহায্য করে। মাস্কের বাইরে এবং একদম ভিতরের স্তরে এই পলিপ্রোপাইলিন থাকছে। মাঝখানে পুরোনো সুতি, তা গামছা বা শাড়ি যা খুশি হতে পারে, তা রাখা হচ্ছে।’