Breaking
19 Apr 2025, Sat

করোনা রোধে যেন অবহেলিত না হয় ডেঙ্গু দমন, বার্তা ফিরহাদের

রিমা দাস, এইকাল নিউজ:

Advertisement
করোনা মোকাবিলার মধ্যেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নগরোন্নয়ন ভবনে বৈঠকে বসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন সমস্ত পৌরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন তিনি। মূলত ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ নিয়েই ছিল এদিনের বৈঠক। করোনা রোধ করতে গিয়ে যাতে কোনভাবেই ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার বিষয়টিকে অবহেলা না করা হয়, এদিন কাউন্সিলরদের সেই বার্তাই দেওয়া হয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
এদিন বৈঠক শেষে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, করোনার সঙ্গেই ডেঙ্গু মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেবিষয়ে অবগত করা হয়েছে সমস্ত পুরসভার কাউন্সিলরদের। তিনি জানান, ‘প্রত্যেক পুর-এলাকাতেই হাইড্রোক্লোরাইড স্প্রে করতে বলা হয়েছে। হাইড্রোক্লোরাইড এমন একটি রাসায়নিক যা বাতাসে থাকা করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করবে, শুধু তা নয়। একই সঙ্গে ওই রাসায়নিক যখন মাটিতে পড়বে তখন ডেঙ্গু মশার লার্ভা কেউ নষ্ট করে দেবে।’
এদিন মন্ত্রী আরও জানান, ‘প্রত্যেক বছরের মত এবছরও বহাল থাকবে ডেঙ্গু সচেতনতা মূলক অভিযান। এবছরও ডোর টু ডোর সচেতনতার প্রচার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাই কর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের জন্য মাস্ক ও গ্লাভস পাঠানো শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ জায়গা গুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে ‘উই কেয়ার’ নামক একটি বিশেষ ধরনের পোশাক দেওয়া হবে স্বাস্থ্য কর্মীদের। তবে কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে পোশাকটি একটু আলাদা হবে। এই পোশাকটি বিশেষভাবে ডিজাইন করে তৈরি করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, করোনা সতর্কতায় বারবার হাত ধুতে হচ্ছে সকলকেই। গাইডলাইনে তেমনই বলা হয়েছে। এদিকে গরম পড়তেও শুরু করে দিয়েছে। এই অবস্থায় জলের অপচয় রুখতে বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এবিষয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘আমি বলে দিয়েছি, জলে পরিশোধনের জন্য যে সব রাসায়নিক ব্যবহার হয় তা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জল যাতে অপচয় না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে পুর কর্মীদের। রাস্তায় বা বাড়িতে যেসব কল খোলা থাকবে তাদের নোটিশ পাঠাতে হবে।’
প্রসঙ্গত, পরিকল্পনা সত্ত্বেও শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবছরই হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেই চলেছে। গতবছর ৩ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনেরও বেশির। এর জন্য পুরসভা বারবারই মানুষের অসচেতনতা ও ভুল ডেঙ্গু চিকিৎসার দিকে আঙ্গুল তুলেছে। যদিও বিরোধী কাউন্সিলররা আঙ্গুল তুলেছেন বিভাগীয় সমন্বয়ের অভাবের দিকে। অনেক বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার মশা দমনের পদ্ধতি নিয়েও। তবে চলতি বছরে চিত্রটা একদমই আলাদা। বছরের শুরু থেকেই করোনা আতঙ্কে জেরবার গোটা বিশ্ব। তারই মাঝে করোনার থাবা পড়েছে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গেও। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এই অবস্থায় করোনার মোকাবিলা করতে গিয়ে ডেঙ্গুর মতো আর এক মারণ রোগকে যেন অবহেলা না করা হয়। এদিন কাউন্সিলরদের সেই বার্তাই দেন মেয়র।

Developed by