এইকাল নিউজ:
নৈহাটিতে করোনা পজেটিভ আরও এক। আক্রান্ত মহিলা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরীপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। রবিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সিল করে দেওয়া হয় সমগ্র ওয়ার্ড। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের পরিবারের লোকজনদের আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন নৈহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সিআইসি সনৎ দে।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৩ তারিখ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা। শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় ওইদিনই তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর তিনদিন পর রবিবার ওই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসতে আক্রান্তকে তড়িঘড়ি করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি কল্যাণী কার্নিভাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এই আক্রান্ত মহিলাই কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী বলে জানান হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য অরূপ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আগে যেসব রোগী করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁদের সবারই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এই প্রথম এক মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি নৈহাটি গৌরীপুরের বাসিন্দা।’
এদিকে এই মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই গৌরীপুর বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নৈহাটি পুরসভা। এ বিষয়ে রবিবার নৈহাটি পুরসভা ও নৈহাটি পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নৈহাটি পুরসভা ও নৈহাটি থানার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৮/০৪/২০ (মঙ্গলবার) থেকে ৩০/০৪/২০(বৃহস্পতিবার) এই ৩দিন বিশেষ কারনে ৬ নং বিজয়নগর বাজার ও আনন্দ বাজার সম্পূর্ন বন্ধ থাকবে। এবং গৌরীপুর বাজার আগামীকাল, ২৭/০৪/২০ থেকে বন্ধ থাকবে। সকলের সহযোগিতা কামনা করি।’
এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে সনৎ দে জানান, ‘ইতিমধ্যেই ওই মহিলার বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাও সিল করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ড জীবাণুুমুক্তকরণ করা হবে। এছাড়াও থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে ওই এলাকার মানুষের পরীক্ষা করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে ওই মহিলার স্বামী ও চার মেয়েকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। পাঁচজনের করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নৈহাটির সাত নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। আক্রান্ত মহিলার বয়স ৫০ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। ওই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হয় সমগ্র এলাকা। এরপরেই ওই ওয়ার্ডের সঙ্গে পাশের ওয়ার্ডগুলোতেই চলে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ। থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এলাকাবাসীদের। এদিন এ বিষয়ে সনৎ দে জানান, ‘আগে যে রোগী ধরা পড়েছেন, তিনি ভালো আছেন । এখন কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।’ এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।