রিমা দাস, এইকাল নিউজ:
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ২জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২২। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮জন। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে রাজ্যে মোট সক্রিয় চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২২।
মঙ্গলবার নবান্নে এই পরিসংখ্যান দেন মুখ্যসচিব রাজিব সিনহা।
তিনি জানান, রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১১৯জন। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৫।
এদিন মুখ্যসচিব বলেন, গত ২৪ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক হাজার ১৮০টি। এই পর্যন্ত রাজ্যে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩হাজার ২২৩। এখনও পর্যন্ত এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এখন ৫৮২টি সরকারি কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ৫হাজার ৩৮৮জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নজরদারি শেষ হয়েছে ৪৫১ জনের। এদের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে আসা সন্দেহভাজন, বিদেশ থেকে আসা সন্দেহভাজন, করোনা আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে আসা সন্দেহভাজন সকলেই রয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৯জনকে সরকারি কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। রাজ্যে হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন ১৬হাজার ৫২জন। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারান্টাইনে নজরদারি শেষ হয়েছে ২ হাজার ৫৭৭জনের।
এদিন মুখ্যসচিব আরও বলেন, মূলত পাঁচটি জেলা থেকে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নতুন করে আক্রান্তরা কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪পরগনা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এর মধ্যে কলকাতা হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৭৫ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছেন। অন্যদিকে বাকি ২৫ শতাংশ হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হার ৫.৩ শতাংশ। রাজ্যে সুস্থ হওয়ার হার ১৮.১শতাংশ বলেই এদিন জানান মুখ্য সচিব। পাশাপাশি রাজ্যে পুল সিস্টেমে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে বলে এদিন দাবি করেন তিনি।
রাজ্যে টেস্টের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে বলেও এদিন জানান মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তিনি বলেন, রাজ্যে ১৪ টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। নাম না করে তিনি জানান, একটি ল্যাব এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। সেটি চালু হলে দিনে আরও 100 টি করে বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, হোম কোয়ারান্টাইনে থাকলে সামাজিক সংকোচ কমবে বলে জানিয়ে মৃদু সংক্রমণে হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেন মুখ্য সচিব।