এইকাল নিউজ:
জনস্বার্থে রাজ্য সরকারের গঠিত কলকাতা পুর নিগমের প্রশাসক বোর্ডকে আপাতত কাজের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরমন্ত্রী তথা বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্য প্রশাসক করে গড়া এই বোর্ডকে ‘কেয়ারটেকার বোর্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের এক মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। করোনার সংক্রমণ রোধে জারি হওয়ার লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে কলকাতা পুরনিগম জরুরি পরিষেবা ও সেইসঙ্গে করোনা মোকাবিলার কাজ চালিয়ে যেতে পারে সে কারণেই এক মাসের জন্য এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। একমাস পর মামলার পরবর্তী শুনানির।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই পুরসভার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ৮ তারিখ থেকে পুরসভা চালানোর কথা প্রশাসক বোর্ডের। যা নজিরবিহীন। তাই আগেই ৬ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, কলকাতা পুরনিগমের জন্য ১৪ জনের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেয়র পারিষদদের নিয়ে গঠিত এই বোর্ডে মুখ্য প্রশাসক হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবং অবিলম্বে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলকাতার অরবিন্দু সরণির বাসিন্দা শরৎ কুমার সিং।
একজন পুরমন্ত্রীকে কীভাবে পুরনিগমের প্রশাসক হিসাবে বসানো যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং এই পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক দাবি করে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ও গঠিত বোর্ডের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
তাঁর আইনজীবী বিকাশ সিং জানান, পুর আইন অনুযায়ী কলকাতা পুরনিগমের ক্ষেত্রে এভাবে প্রশাসক বসানো যায় না। অন্যান্য পুরসভায় প্রশাসক বসানো গেলেও পৌরনিগমের ক্ষেত্রে তা আইন বিরুদ্ধ।
তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে করোণা মহামারীর জন্য এই পরিস্থিতিতে পুরভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও এটাকে সমর্থন করেছে যা অসাংবিধানিক।
কিন্তু আদালত পরিস্থিতি বিচার করে প্রশাসক বোর্ডকে এক মাসের জন্য কাজের সুযোগ দিয়েছে।