এইকাল নিউজ:
আগস্ট পর্যন্ত খুলছে না দেশের কোনও স্কুল-কলেজ। রবিবারই স্পষ্ট করে একথা জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। আর তার জেরেই আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অভিভাবকরা।
সিবিএসই, আইসিএসই-সহ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা জুলাইয়েই শেষ করার পাশাপাশি 15 আগস্টের মধ্যে ফল প্রকাশের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সূত্রের খবর, তারপর সেপ্টেম্বর নাগাদ স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে ভাবছে কেন্দ্র। যদিও তা নির্ভর করবে সেই সময়ের পরিস্থিতির ওপর। আপাতত করোনা সংকটকালীন অবস্থায় স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে অভিভাবকদের আপত্তির জেরেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।
হরিয়ানা- সহ বেশ কিছু রাজ্য চাইছিল, গরমের ছুটির পরই খুলে দেওয়া হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সেইমতো জুলাইয়ের পরই স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে ভাবনাচিন্তাও শুরু করে কেন্দ্র। কিন্তু সেই সম্ভাবনা তৈরি হতেই আশঙ্কা প্রকাশ করতে শুরু করেন অভিভাবকরা। ফেসবুক-টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ ওঠে, দেশ করোনামুক্ত না হওয়া অবধি স্কুল খোলা যাবে না। সকলেই বলতে থাকেন, শিক্ষা জরুরি হলেও সন্তানের জীবন আরও অনেক বেশি জরুরি। এই অবস্থায় সন্তানকে সাজিয়ে-গুছিয়ে করোনার বলি হতে স্কুলে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা। তাঁদের প্রশ্ন, স্কুলে পড়ুয়ৃরা সামাজিক দূরত্ব মানছে কি না, টিফিনের সময়ও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে কি না, শৌচালয় থেকে গণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে কি না, সে বিষয়ে নজরদারি কে চালাবেন। এমনকী, দাবি ওঠে শিক্ষাবর্ষ বাতিলেরও। ডিজিটাল পদ্ধতিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান। যা ক্রমশ জোরালো হতে দেখেই শেষমেষ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আপাতত স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, 30 জুন পর্যন্ত বাংলার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য। এবার কেন্দ্রের ঘোষণায় সেই মেয়াদ আরও বাড়ল। এদিকে, রাজ্যের বেসরকারি নামী কিছু স্কুল এই লকডাউনেও অনলাইন ক্লাস করিয়ে পুলকার ভাড়া সমেত সামগ্রিক ফিস একই রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবিও তুলেছেন অভিভাবকরা। পাশাপাশি সরকারি স্কুলগুলিতেও উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে স্মার্ট ফোন না থাকায় বহু পড়ুয়াই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে শিক্ষাবর্ষ বাতিলের দাবি। এখন কেন্দ্র কী নেয় তাই দেখার।