এইকাল নিউজ:
ব্যারাকপুর কমিশনারেট অঞ্চলে আপাতত মোট ৩৮টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে নৈহাটি ও বীজপুর থানা অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত কোনও কনটেনমেন্ট জোন নেই। ফলে স্বভাবতই নৈহাটি ও বীজপুরের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, ‘বীজপুর এবং নৈহাটিতে কোনও কনটেনমেন্ট জোন না থাকায় এই এলাকায় কড়া লকডাউন হচ্ছে না।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে মানুষকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতে হবে।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্ভুক্ত রে ৩৮টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে, সেখানে বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। একইরকম ভাবে এই জোনে বসবাসরত কেউ বাইরে বেরোতে পারবেন না। ওই অঞ্চলগুলিতে টু-হুইলার, ফোর- হুইলার চলাচলও নিষিদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কড়াকড়ি শিথিল হওয়ার কারণে মানুষের সঙ্গে মানুষের মিক্সিং বেড়ে গেছে। বাজার, দোকানপাট খুলে যাওয়ার কারণে ভিড় বেড়েছে এবং সংক্রমণের হারও বেড়ে গেছে। তাই অনুসন্ধান করে ওই ৩৮টি অঞ্চলে সাত দিনের জন্য কড়াকড়ি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাতদিন পর পরিস্থিতি আবার রিভিউ করা হবে।’
হালিশহর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অংশুমান রায় জানালেন, তাঁর এলাকায় কোনও কনটেনমেন্ট জোন না থাকায় হালিশহরের দোকান বাজার সমস্ত স্বাভাবিক নিয়মেই খুলবে। তবে তিনি পুরবাসীদের মাস্ক ব্যবহার ও সোস্যাল ডিস্ট্যান্স মানতে অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে, নৈহাটি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এলাকার সব দোকান বাজার সকাল থেকে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। তবে সন্ধ্যা ৬ টার পরে সব বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার পর বন্ধ থাকবে পরিবহণ ব্যবস্থাও।
এছাড়া দোকান বাজারের ক্ষেত্রে দু’দিন নৈহাটির রেলের পূর্ব পাড় খোলা, পরের দু’দিন পশ্চিম পাড় খোলা। এইভাবে আপাতত ১৪ দিন চলবে। পুরবাসীদের করোনা রুখতে সব রকম সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।