Breaking
18 Apr 2025, Fri

মাধ্যমিকে প্রথম একাদশে নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের সৌম্যজিৎ

এইকাল নিউজ: হরপ্রসাদ-বঙ্কিমের গর্বের নৈহাটির মুকুটে নয়া পালক। নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যা নিকেতন -এর ছাত্র সৌম্যজিৎ দাস এবারের মাধ্যমিকে ৬৮২ নম্বর পেয়ে রাজ্য একাদশ স্থানে জায়গা করে নিল। সমগ্র ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকায় সে প্রথম স্থানাধিকারী।আর মাত্র একটি নম্বর বেশি পেলেই প্রথম দশে ঠাঁই মিলত। কিন্তু ইঁদুর দৌড়ে বিশ্বাস না থাকা সৌম্যজিতের তাতে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই। নিজের প্রাপ্ত নম্বরেই সে খুশি।ছাত্রের এই সাফল্যে গর্বিত নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শান্তুনু কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘আমাদের অহংকার সৌম্যজিৎ দাস। নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের অহঙ্কার। ১৯৮৬ সালে এই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল সব্যসাচী ব্যানার্জী । এরপর ৩৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, বিদ্যালয়ের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। কিন্তু আক্ষেপ ছিল দুর্দান্ত একটা ফলাফলের। আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী দের মেধা বড়াবড়ই ভালো। কিন্তু কোথাও যেন একটা অপূর্ণতা থেকেই যাচ্ছিল। এবার ৬৮২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে একাদশতম স্থান অধিকার করে সেই আক্ষেপ অনেকাংশে দূর করল আমাদের সৌম্যজিৎ। মুখচোরা, লাজুক স্বভাবের অনুগত ছাত্র আজ শিক্ষা জগতের আঙ্গিনায় আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করেছে। সৌম্যজিৎ এর হাত ধরে যে গৌরব আবার নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের ঘরে ফিরে এল, সেটা ধরে রাখতে আমাদের বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বদ্ধপরিকর।’তিনি আশাবাদী ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের বিষয়ে। বললেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এরকম আরও অনেক পালক আমাদের মুকুটে যোগ করবে। তাই আজকের এই সাফল্যের কৃতিত্বের ভাগ সৌম্যজিতের পাশাপাশি ওর পরিবার এবং আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদেরও দেব।’ সৌম্যজিতের আরও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।সৌম্যজিৎ-এর পিতা এই নৈহাটি নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রাক্তনী। পুত্রের এই রেজাল্টে তিনি অত্যন্ত খুশি হন। ছেলের এই সাফল্যের জন্য বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। প্রধান শিক্ষক শান্তুনু কুন্ডুর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।অন্যদিকে ছেলের এই সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু কুণ্ডুর বলে মনে করেন সৌম্যজিতের বাবা। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বছর ছয়েক আগে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হয়ে এসেছিলেন শান্তনুবাবু। তিনি দক্ষ হাতে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো আমূল বদলে ফেলেছেন, সেটা বিদ্যালয়ে পা রাখলেই বোঝা যায়। বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি তিনি এই বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যম চালু করেছেন। বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি চাইছিলেন একটা ভালো রেজাল্ট। তাঁর সেই স্বপ্ন এবার পূর্ণ হল।এলাকার ছেলের কৃতিত্বে খুশি নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি সৌম্যজিৎকে স্নেহ ও আশীর্বাদ জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নৈহাটির পুর প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায়ও।

Advertisement
অন্যদিকে, এবারের মাধ্যমিকেবীজপুরে প্রথম স্থান অধিকার করেছে হালিশহর অন্নপূর্ণা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীজ্যোতি বিশ্বাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা গৃহবধূ। এরকম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে জ্যোতির সাফল্যে খুশি তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওই একই স্কুলের ছাত্রী দেবস্মিতা চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৫। কাঁচরাপাড়া হার্নেট হাইস্কুলের ছাত্রঅমিয়কুমার ঘোষও ৬৬৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে।তৃতীয় স্থানেও দু’জন। হার্নেট হাইস্কুলের দুই ছাত্র তপোজ্যোতি বটব্যাল ও তন্ময় মাঝি। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৪।

Developed by