শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক রিপোর্ট কপালে ভাঁজ বাড়িয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা প্রশাসনের। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জেলায় করোনা সংক্রমণ 302 শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গোটা রাজ্যের মধ্যে কলকাতার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার করোনার সংক্রমণ। দেশের দশ হটস্পটের মধ্যে সংক্রমণের হারে নবম স্থানে উঠে এসেছে এই জেলা। সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার যখন 140%, তখন এই জেলার হার গোটা দেশের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। আর করোনার আক্রান্তের নিরিখে গোটা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় সবচেয়ে এগিয়ে ব্যারাকপুর মহকুমা। গত মঙ্গলবার নতুন সংক্রমণের এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও 282 জন এবং আরও 17 জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র ব্যারাকপুর মহকুমাতেই 28 জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা 6927 জন এবং মৃত্যু হয়েছে 252 জনের। যা নিয়ে জেলা তো বটেই, রাজ্য প্রশাসনও দুশ্চিন্তায়।
শুধুমাত্র ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এখনও পর্যন্ত 102 জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে 78 জন সক্রিয়। 69 জনের চিকিৎসা চলছে হোম আইসোলেশনে। হাসপাতালে ভর্তি 9 জন। আক্রান্ত হয়েছেন হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, উত্তর ব্যারাকপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, কামারহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার মোট 31 জন পুরকর্মী।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ব্যারাকপুর মহকুমার সমস্ত পুরসভা ও দু’টি ব্লককেই একটি করে সেফ হাউস তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে আক্রান্তদের আলাদা করা যায়। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই নৈহাটি, খড়দহ, দমদম ও উত্তর দমদম এই চারটি পুরসভা সেফ হাউস তৈরি করেছে। পানিহাটি ও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকাতেও সেফ হোমের কাজ চলছে।
সংক্রমণ রুখতে সরকারি অফিসগুলি প্রতি সপ্তাহে জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি সব রকম সুরক্ষাবিধি মেনেই কাজ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, করোনা রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে মহকুমার সরকারি হাসপাতালগুলিতে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।