এইকাল নিউজ:
বনগাঁ মহকুমায় ১৩ লক্ষ মানুষের বসবাস। চারটি থানা এলাকায় ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০১ জন। মারাও গিয়েছেন একজন। কিন্তু নেই কোভিড হাসপাতাল। এই দাবিতে বনগাঁ মহকুমার ২২টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২১ জুলাই, ২০২০ একটি স্মারকলিপিতে অবিলম্বে বনগাঁ মহকুমায় একটি কোভিড হাসপাতালের দাবি জানান। পিপল ইন ডিস্স্ট্রেস-সাহস ( PID SAHAS) এর পক্ষ থেকে ২ আগস্ট, ২০২০ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো এক ইমেলে ফের সেই দাবির আশু রূপায়ণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর চারমাস অতিবাহিত হলেও বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল/ডাঃ জে.আর.ধর হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার সুযোগের ক্ষেত্রটি যে কোনও কারণেই হোক প্রস্তত হয়নি । বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে অল্পকিছু কোভিড শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার সুযোগ বা চিকিৎসার খরচ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রায় ১৩ লক্ষ জনসংখ্যা সম্বলিত মহকুমার নাগরিকদের সম্ভাব্য চিকিৎসা চাহিদার তুলনায় ওই নার্সিংহোমের কোভিড শয্যা সংখ্যা অপ্রতুল।সেইসঙ্গে বাগদহ থেকে সড়ক পথে জেলা সদর বারাসতের দূরত্ব যেমন পঁচাত্তর কিমি,বনগাঁ থেকেও কলকাতার দূরত্ব প্রায় নব্বই কিমি। সংকটজনক কোভিড-১৯ রোগীকে নিয়ে এতো পথ পাড়ি দেওয়া যেমন ঝুঁকির আবার ঝক্কিরও।পাশাপাশি লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় রোগীর পরিস্থিতির খোঁজ নিতে গাড়ি ভাড়া করে রোজ বারাসত/কলকাতা যাতায়াত করা সময় সাপেক্ষ ও বিপুল ব্যয় সাপেক্ষ।
বনগাঁবাসীর দাবি,ডাঃ জীবনরতন ধর বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে অবিলম্বে মহকুমার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবনায় রেখে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই পৃথক একটি বিল্ডিং-এ অন্তত ১০০ শয্যার একটি কোভিড-১৯ চিকিৎসা ইউনিট চালু করা। এছাড়া লকডাউন জনিত ও করোনাজনিত কারণে অধিকাংশ মানুষের রোজগার প্রায় নেই বললেই চলে।এমতাবস্থায় প্রান্তিক জনপদ থেকে অনেক টাকা খরচ করে বনগাঁ হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা পরীক্ষা করাতে আসতে চাইছেন না উপসর্গযুক্ত বহু মানুষ। এছাড়া কোভিড -১৯ রোগীর স্থানান্তরের জন্যত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল ও স্থানীয় পুর প্রশাসনের সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্স চিহ্নিত করে রাখা প্রয়োজন।এতে প্রয়োজনের সময় ঝঞ্ঝাট এড়ানো ও সময় বাঁচানো যাবে। সেই সঙ্গে একটি পৃথক হেল্পলাইন ফোন নম্বর ২৪ ঘন্টার। পিআইডি সাহস-এর পক্ষে অন্যতম আহ্বায়ক স্বপন মণ্ডল ও পিআইডি সাহস-এর বনগাঁ মহকুমার ভারপ্রাপ্ত সদস্য সৈফুদ্দিন মণ্ডল আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনগাঁ মহকুমা বাসিন্দাদের পক্ষের তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা বিচার করে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পিআইডি করোনা অ্যাওয়ারনেস টিমের পক্ষে অতনু রায়চৌধুরী বলেন, আমরা সচেতনতার কাজটি করার চেষ্টা করছি প্রশাসনের পক্ষের পরিকাঠামোর ব্যবস্থা সময়ের প্রেক্ষিটতে দ্রুত গ্রহণ করা প্রয়োজন।