এইকাল নিউজ:
মহামারী করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যেই গোটা দেশের অন্তত 200 জন ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ব্যারাকপুর মহকুমায় গত 24 ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে দুই কবিড যোদ্ধা ডাক্তারের। প্রথম জনের নাম ডঃ প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য(58)। তিনি শ্যামনগরের বাসিন্দা। অন্যজন ডঃ বিশ্বজিৎ মন্ডল(61)। বিশ্বজিৎ বাবু ব্যারকপুরের নামকরা চক্ষু বিশেষজ্ঞ।
ডাঃ প্রদীপ ভট্টাচার্য শ্যামনগরের মানুষের কাছে ছিলেন প্রদীপ শিখা। গরিবদের সহায় সম্বল এই ডাক্তারবাবু করোনার মধ্যেও মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন। সোমবার বিকালে কবিড যুদ্ধে পরাজিত হয়ে কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে বিশ্বজিৎ মন্ডল কোরোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ব্যারাকপুর লালকুঠির কাছে কবিড হাসপাতালে। একই দিনে এই দুই ডাক্তারের মৃত্যু ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর মহকুমায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এখনও পর্যন্ত 102 জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হয়েছেন কাঁচরপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া, উত্তর ব্যারাকপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, কামারহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার মোট 32 জন পুরকর্মী।
দেশ জুড়ে মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। করোনার সঙ্গে দিন-রাত লড়াই করে চলেছে চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকমীরা। কিন্তু এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন চিকিৎসক। এমনটাই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে IMA-র তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির উদ্দেশ্য চিকিত্সক ও চিকিত্সকদের পরিবারের যথাযথ যত্ন। এ পর্যন্ত দেশজুড়ে প্রায় 200 চিকিত্সকের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করে। আইএমএ মোদীকে জানায়, চিকিত্সক ও তাঁদের পরিবার ‘স্পেশ্যাল রিস্ক গ্রুপ’-এর মধ্যে রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরের চিকিত্সকেরা যাতে কেন্দ্রীয় জীবনবিমা ও মেডিক্যালের সুবিধা পান, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানো হয়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর তরফে শনিবার সরকারি ভাবে কোভিডে শহিদ হিসেবে 196 ডাক্তারের কথা জানানো হয়েছে। আর শনিবারের পর থেকে এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে 200 ছাড়িয়ে গেছে।