এইকাল নিউজঃ
তৃণমূলে এবার বড় পদ পেতে চলেছেন হালিশহর এর প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়। এইকাল-কে ফোনে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে একথা জানালেন উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা তৃণমূল এর সভাপতি তথা খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন ‘অংশুমান স্বেচ্ছায় হালিশহরের পুরপ্রসাসক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু অংশুমান ব্যাক্তিগত ভাবে সৎ এবং ও দলের সম্পদ। অংশুমান is good boy . ওকে আমি জেলায় তুলে আনবো। শুধু তাই নয়, সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে যৌথ ভাবে চারটি বিধানসভার দায়িত্ব খুব শীঘ্রই অংশুমানকে দেওয়া হবে। ব্যারাকপুর মহকুমার চারটি বিধান সভা, দীনেশদার সঙ্গে যুগ্মভাবে দায়িত্ব নিয়ে দেখবে অংশুমান।’
প্রসঙ্গত হালিশহর পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ও প্রাক্তন প্রশাসক অংশুমান রায় ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন কিছু দিন আগেই। এরই মধ্যে সম্প্রতি একাধিক নিউজ পোর্টাল ও নিউজ চ্যানেল ও খবরের কাগজে সম্প্রচারিত হয় একটি ভুল খবর। বলা হয়, খাদ্য মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি বলেছেন অংশুমানকে শাস্তি স্বরূপ বহিষ্কার করা হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তোলপাড়।
প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায় বলেন দুর্নীতি তো অনেক বড়ো কথা, আমি যদি কোথাও কোনো অনিয়ম এর সাথেও যুক্ত থাকি তাহলে সমস্থরকম তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত আছি। খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এইকালকে ফোনে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি দেখেছি ভুল খবর পরিবেশিত হয়েছে। আমি কখনোই তা বলিনি। আমার মুখের কথাকে বিকৃত করে খবর পরিবেশিত হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু আরও বলেন অংশুমানকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি, ওর সঙ্গে আমার কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরও মিল আছে। ও আমার মতই একগুয়ে কিন্তু সৎ। আমি যেমন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনতে পারবেন না ঠিক তেমনই অংশুমানও তাই। অংশু দুবছর আগে থেকেই পদত্যাগ এর কথা বলে আসছিল আমি আটকে রেখেছিলাম। অবশেষে সে ব্যাক্তিগত কারণে পুরপ্রশাসক এর পদ থেকে পদত্যাগ করছে। তবে পুরপ্রসাশক এর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও সক্রিয় রাজনীতিতেই বহাল থাকবে অংশুমান। আমি ওকে জেলায় তুলে আনব। এবিষয়ে হালিশহরের প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায় এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই দল করতে এসেছি তিনি আমার আদর্শ। খাদ্যমন্ত্রীকেও আমি শ্রদ্ধা করি। আমি নীলবাতি বা লালবাতির গাড়ি করে বেড়াইনা। সাইকেল চড়ি।পুরপ্রশাসক এর পদ থেকে আমি সরে গেলেও তৃণমূল এর সক্রিয় রাজনীতি থেকে কিন্তু আমি সরিনি। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতেই আমি সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করছি এবং করবও। দল যে দায়িত্ব দেবে তা আমি অবশ্যই পালন করবো।
প্রসঙ্গত, দুবারের পুরপ্রধান অংশুমান রায় কিছুদিন আগে পুরপ্রশাসক এর দায়িত্ব ছেড়ে জানিয়েছিলেন তিনি ব্যক্তিগত কারনে পরিবারকে সময় দিতে চান। এর পরে হালিশহরের পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজু সাহানিকে।