এইকাল নিউজ:

এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের সম্মান প্রদান করার মধ্য দিয়েই মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। সূচনা করেন এলাকার বিধায়ক পরেশ পাল। এছাড়া করোনা সংক্রমণকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা এলাকার কয়েকজনকে করোনা জয়ীর সম্মান জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।লকডাউনের প্রথম দিকে যখন সবকিছু বন্ধ ছিল, সেইসময় জীবনের ঝুকি নিয়ে কয়েকজন সরকারি বাসচালক ডাক্তার নার্সদের আনা-নেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক কর্তব্য পালন করে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাসচালক বিজয় সাউ। ওই কঠিন সময়ে একজন মূমুর্ষূ রোগীকে বিরল ও নেগেটিভ রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে মানবিকতার নজির গড়ে তুলেছিলেন পেশায় সিভিক পুলিশ দেবোপম বল। সরকারি হাসপাতালে সিকিউরিটির (সরকারি)কাজ করে করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন তরুণ প্রজন্মের শুভজিত চক্রবর্তী। এদিন তাঁদের সম্মানিত করা হয়।
সম্মানিত হন সাংবাদিক দীপঙ্কর নাগ (তারা নিউজ), কনাদ দাশগুপ্ত (এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ), শ্রাবণী গুপ্ত (বাংলা টাইম), শুভাশিস ঘটক (আনন্দবাজার)। সম্মান জানানো হয় সাংবাদিক জে সাগর, দেবাশিস দাস, সুব্রত রায়, বুদ্ধদেব ঘোষ, পরিতোষ দুবে, অমিত রায় প্রমুখকে।
সম্মান গ্রহণ করার পর সাংবাদিক সুকুমার মিত্র বলেন, ‘অনেকে মিলে এগিয়ে এলে করোনা অতিমারীতেও যে বেশ কিছু কাজ করা যায়, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে।’ তিনি বলেন, ১৭টি রাজ্য থেকে ৪০ হাজার মানুষকে ঘরে ফেরানো, টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। তিনি সকলকে পিপল ইন ডিস্ট্রেস-এর কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

বর্তমান সময়ে সামাজিক দূরত্ব সহ সমস্তরকম নিয়ম মেনে সমস্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সচিব রঞ্জিত দে। তিনি বলেন, ‘যাঁদের আজ সম্মানিত করা হল, তাঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে মানবিকতার সঙ্গে কর্তব্যে অবিচল এবং প্রত্যেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের সম্মানিত করে আমরা গর্বিত বোধ করছি।’ এছাড়াও সংগঠনের কর্মকর্তা গৌতম সোম চৌধুরী অলোক রায়, মনোজ দত্ত, সোহম শিকদার অভীক দাস, বলাকা দাশগুপ্ত, রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায় সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠভাবে আয়োজনে সাহায্য করেন।