এইকাল নিউজ:
কোভিড আক্রান্ত হলেন নৈহাটির পুর-প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম কর্মকর্তা সনৎ দে। তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কোভিড পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভালো আছেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। সেই সঙ্গে যাঁরা গত কয়েকদিনে তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে এবং প্রয়োজনে কোভিড টেস্ট করানোর আবেদনও জানিয়েছেন। আপাতত নৈহাটির সেফ হোমেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ লাগাতার নৈহাটি পুর এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্ব সামলেছেন বিদায়ী পুরবোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের পুরপ্রধান পার্ষদ সনৎবাবু। পুরবোর্ড ভেঙে গেলেও লকডাউনের প্রথম পর্ব থেকে এপর্যন্ত তিনি বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য ও জনসেবামূলক কর্মসূচিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এলাকার দুঃস্থ ও নিরন্ন হাজার হাজার পরিবারে লকডাউনের সময় খাবার পৌঁছে দেওয়া, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাত জেগে রান্নার তদারকি করা, কিংবা নৈহাটি সেফ হোমে নজরদারি, সবকিছুর তত্ত্বাবধানেই ছিলেন তিনি। মূলত নৈহাটি পুর অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার সিংহভাগটাই তাঁর চওড়া কাঁধে ন্যস্ত ছিল। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বেই একের পর এক কোভিড রোগী পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছেন নৈহাটির সেফ হোমে। সুষ্ঠু চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়েছেন । পাশাপাশি নৈহাটি হাসপাতাল কোভিড হাসপাতাল হওয়ার পর সেখানেও ছিল তাঁর নজরদারি। নৈহাটির সমস্ত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কিংবা কোভিড আক্রান্ত সমস্ত রোগীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে তাঁদের মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করা, সব কাজটাই তিনি করে গেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। তিনি আশাবাদী, দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার ফিরবেন জনসেবায় ।
নৈহাটি শহর তৃণমূলের যুব সভাপতির দায়িত্বে থেকেছেন প্রায় দু’দশক । নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের সমস্ত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির দক্ষিণ হস্ত হিসাবে পরিচিত তিনি। তিনি ২০১০ সালের পুরভোটে জয়ী হয়ে নৈহাটি পুরসভার কাউন্সিলর হন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পুরপ্রধান পার্ষদ নিযুক্ত হন। অপ্রিয় সত্য ভাষণে পটু এই জনপ্রতিনিধি পুর-পরিষেবার ক্ষেত্রে সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে পোস্ট করেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন বঙ্কিম-ভবন গবেষণা কেন্দ্রের অধক্ষ অধ্যাপক ড. রতনকুমার নন্দী, নৈহাটির পুর-প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় ও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। এইকাল পরিবারের পক্ষ থেকেও তাঁর জন্য রইল শুভকামনা।