
এইকাল নিউজ: তিনি নৈহাটির গর্ব। তিনি সাধারণ গরিব মানুষের ভগবান। তিনি পাঁচ টাকার ডাক্তারবাবু হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। সেই হিরণ্ময় স্মরণেই অভিনব এক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকল নৈহাটিবাসী। করোনার কড়াল থাবা তাঁকে আমাদের থেকে কেড়ে নিলেও এলাকাবাসীর স্মৃতিতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন নৈহাটি পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদনের নাম বদলে রাখা হল হিরণ্ময় সদন।

নতুন নাম ফলকের উদ্বোধন করেন নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক তরুণ অধিকারী। পাশাপাশি ডা. হিরন্ময় ভট্টাচার্যের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন ডা. হরিশংকর পাঠক। প্রধান অতিথি ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। স্মৃতিচারণায় আবেগঘন হয়ে পড়েন তিনি। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন নৈহাটির মুখ্য পুর প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায়।
6 অক্টোবর, মঙ্গলবার নৈহাটির ঐকতান প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত স্মরণসভায় জনদরদি এই চিকিৎসককে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রের প্রদর্শন হয়। ওই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয় রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনে ছাত্রাবস্থা থেকেই দুই সহপাঠী হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ও পার্থ ভৌমিকের সেবাব্রত গ্রহণের কথা। প্রথমজন চিকিৎসার মাধ্যমে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের সেবা করে গিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও কাউকে ফেরাননি। দ্বিতীয়জন নৈহাটির বিধায়ক। মহামারীর সংকটময় মুহূর্তেও যিনি জনসেবার আদর্শে অবিচল ভাবে কাজ করে চলেছেন। তথ্যচিত্রটির রচনা করেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ভাষ্য পাঠে পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। শব্দ ও সম্পাদনায় তাপস মোদক ও তোতন।

স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন ডাক্তার দেবাশিস নন্দী, ডা. অবনী বিশ্বাস, ডা. সুধাকর কুমার শ্রীবাস্তব, ডা. হরিশংকর পাঠক, ডা. পল্লব চক্রবর্তী, বঙ্কিম ভবন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ড. রতনকুমার নন্দী, নৈহাটি মহেন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ড. আশিস মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ রাজা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও দূরভাষে স্মৃতিচারণ করেন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের সহপাঠী বন্ধু নবারুণ ভট্টাচার্য। গোটা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক অনির্বাণ ভট্টাচার্য।