
এইকাল নিউজ: নৈহাটি থানার আইসি ইন্সপেক্টর শুভ্রজিৎ মজুমদারের নেতৃত্বে কালীপুজো, ছটপুজো ও কার্তিকপুজোর সমন্বয় বৈঠক আয়োজিত হল। রবিবার সন্ধ্যায়, নৈহাটির ঐকতানে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির মুখ্য পুর প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায়, হাজিনগরের ওসি উত্তমকুমার সরকার, কাঁপা এসটিজি-র ওসি (ট্রাফিক) বিক্রমজিৎ ঘোষ প্রমুখ। অংশ নিয়েছিলেন নৈহাটির জিআরপি, আরপিএফ, দমকল ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। স্থানীয় ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধনে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন এইকাল-এর সম্পাদক শোভনলাল রাহা।

করোনা আবহে কীভাবে পুজো করতে হবে, তা নিয়ে পুজো কমিটিগুলির কর্মকর্তাদের সামনে রাজ্য সরকারের গাইড লাইন স্পষ্ট করেন আইসি শুভ্রজিৎ মজুমদার। বৈঠকে তিনি জানান, ‘দুর্গাপুজোর মতোই করোনার বিধিনিষেধ মেনেই হবে কালীপুজো, ছট, জগদ্ধাত্রী এবং কার্তিক পুজো। 150 স্কোয়ার মিটার বা তার থেকে কম আয়তনের প্যান্ডেলে 10 জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। 150 থেকে 300 স্কোয়ার মিটারের প্যান্ডেলে 15 জন থাকবেন। 300 স্কোয়ার মিটারের বেশি প্যান্ডেলে 45 জনের বেশি থাকবেন না। প্যান্ডেল থেকে 5 মিটার এলাকা নো-এন্ট্রি জোন হবে। তবে বাফার জোনে ঢাকিদের প্রবেশাধিকার থাকবে।’

রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতোই নৈহাটিতেও এবছর সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ বলে জানান আইসি। ফলে বাজি বিক্রিও করা যাবে না। স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক। দূরত্ববিধি বলবৎ থাকবে। বিসর্জনের শোভাযাত্রা হবে না। বাজনা এবং আলোকসজ্জা করা যাবে না বিসর্জনের জন্য। নূন্যতম আয়োজন করতে হবে বিসর্জনের জন্য। বিসর্জন ঘাটে বেশি লোক নয়।’