এইকাল নিউজ:
জল্পনার অবসান। শুক্রবার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ইমেল মারফত নিজের পদত্যাগপত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তা ফরোয়ার্ড করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও।রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার পর শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, শনিবার সকালেই বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু। সেখানেই অমিত শাহর হাত থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন তিনি। যদিও মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও দুপুরে খবর লেখা পর্যন্ত বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি নন্দীগ্রামের যুবরাজ।
স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। তাঁর নেতৃত্বে মালদহ-মুর্শিদাবাদ সহ কংগ্রেস গড় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাটি শক্ত করার পর আচমকাই মমতা দলের পর্যবেক্ষক পদেরই বিলোপ ঘটান। যা নিয়ে দলের সঙ্গে শুভেন্দুর সংঘাত চরমে পৌঁছয়। সূত্রের খবর, শুভেন্দু-মমতা সম্পর্কের বরফ গলাতে দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় তৎপর হলে তাঁর কাছে বেশ কিছু শর্ত রাখেন শুভেন্দু। যার অন্যতম ছিল ছয় জেলার পর্যবেক্ষক পদে তাঁর পুনর্বহাল। কিন্তু এরমধ্যেই বাঁকুড়ার সভামঞ্চ থেকে বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যের সব জেলায় দলের পর্যবেক্ষক তিনিই। নাম না করলেও শুভেন্দুকেই যে তাঁর এই বার্তা, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি কারও। আর তারপরই বৃহস্পতিবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচ আরবিসি)-এর চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে শুভেন্দু নেত্রীকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। উলটে যে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, তাঁকেই শুভেন্দুর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। আর এরপরই শুক্রবার মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দুর পদত্যাগ।