এইকাল নিউজ:
আরও একটি সরকারি ছুটি বাড়ল ক্যালেন্ডারে৷ এই নিয়ে বছরে আরও তিনটি নতুন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা৷বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার সেখানে একটি কর্মী সভা ছিল৷ সেই সভা থেকেই মমতা ঘোষণা করেন, এবার থেকে কোচবিহারের সংস্কারক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেও ছুটি থাকবে৷
এক নজরে নতুন ছুটি তালিকা:
১) আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মদিন ১৫ নভেম্বর সরকারি ছুটি থাকবে৷
বিরসা মুন্ডা ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন৷ তিনি ভারতের রাঁচি অঞ্চলের একজন মুন্ডা আদিবাসী এবং সমাজ সংস্কারক। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার-অবিচারের ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা করেন। বিদ্রোহীদের কাছে তিনি বিরসা ভগবান নামে পরিচিত ছিলেন।
২) মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি৷ ২৬ চৈত্র মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে তার জন্ম৷ বাংলা পঞ্জিকা মতে প্রতি বছর ৯ বা ১০ এপ্রিল ছুটি থাকবে৷
হরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক ছিলেন। তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নিন্ম শ্রেনীর মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন। প্রতি বছর হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি মধু কৃষ্ণত্রয়োদশীতে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি ও মতুয়া ধামে মেলা শুরু হয়।
৩) রাজবংশী নেতা তথা কোচবিহারের সংস্কারক ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেও ছুটি থাকবে৷
পঞ্চানন বর্মা (১৮৬৭-১৯৩৫), যিনি ঠাকুর পঞ্চানন ও রায় সাহেব নামেও পরিচিত৷ তিনি কোচবিহারের একজন রাজবংশী নেতা, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি নিজের সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে ব্রাহ্মণ্য মূল্যবোধ ও রীতিনীতি জাগিয়ে তোলার জন্য একটি ক্ষত্রিয় সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৬ তারিখে কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা মহকুমার খলিসামারী গ্রামে জোতদার পরিবারে পঞ্চানন বর্মার জন্ম হয়। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় পঞ্চানন সরকার। পিতা খোসাল সরকার ছিলেন একজন জোতদার এবং মাথাভাঙ্গা মহকুমা কাচারির মোক্তার।
অন্যদিকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির এবিপিসি ময়দানের জনসভা মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমি গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিইনি, তাই ওখানে জিতিনি। পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করতে পারলে একমাত্র আমরাই পারব। বিজেপি পারবে না৷”