
এইকাল নিউজ: অতিমারীর ধাক্কায় সাময়িক ভাবে থমকে গিয়েছে জীবনযাত্রা। থমকে গিয়েছে সংস্কৃতি চর্চা, শিল্প চর্চা। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে প্রায় বছর খানেকের মরনপণ লড়াইয়ের পর ফের ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে ফের শুরু হয়েছে সাংস্কৃতিক উৎসব। আর বরাবরের মতোই সেই উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়েছে লালন আকাদেমিও। মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি থেকে নিউ নর্মালের স্বাস্থবিধি মেনেই ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নৈহাটির ৫ নং পি, সি, রোডে অবস্থিত এই লোক সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এদিন সন্ধ্যা ৬ টায় লালন আকাদেমি নৈহাটি পুরসভার সমরেশ বসু সভাকক্ষে “সাঁইজির গানে লালন আকাদেমি” শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে। এছাড়াও আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি লালন আকাদেমি আয়োজন করবে একটি কর্মশালা এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি নৈহাটির ঐকতান মঞ্চে এই সংস্থা আয়োজিত মহাজনী গানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে আগত খোদাবক্স ফকির। মার্চে অনুষ্ঠিত হবে “বসন্ত উৎসব”।
সংগঠনের প্রাণপুরুষ লোক সংগীত গবেষক শুভেন্দু মাইতি ও সম্পাদক তাপসী রায়চৌধুরীর অদম্য প্রচেষ্টায় লোক সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও চর্চায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে লালন আকাদেমি। কোভিড পরিস্থিতিতে গত এক বছরে তাদের চলাও খানিকটা শ্লথ হয়েছে। তবে স্তব্ধ হয়ে যায়নি এই সংস্থার সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন লালন আকাদেমির শিল্পীরা। নিজেদের উদ্যোগে লালন আকাদেমির ফেসবুক পেজেও অনুষ্ঠিত হয়েছে “রাঢ় বঙ্গের গান”, “সনাতনী কথা” নামাঙ্কিত বিবিধ অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান ঘিরে আশাবাদী লালন আকাদেমির সম্পাদক বিশিষ্ট লোক সংগীত শিল্পী তাপসী রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, “ধীরে ধীরে এভাবেই আবার লালন আকাদেমি তার বিভিন্ন কাজ নিয়ে মানুষের কাছাকাছি আসবে আগামী দিনগুলোতে।”