পল্লবী ভাওয়াল, এইকাল নিউজ:
এই ভোট বাজারে মদন মিত্র মানেই চোখে হলুদ চশমা, সঙ্গে নয়া ট্যাগ লাইন, ‘ওহ লাভলি’। বলা যায়, যাঁর রাজনৈতিক জীবন বর্ণময়। এবার অবশেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা জমা দিলেন কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্র। সূত্রের খবর, তাঁর আয়-ব্যয়ের খতিয়ান সবচেয়ে বেশি ‘ভিউজ’। এই নিয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম।
হলফনামায় মদন উল্লেখ করেছেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর উপার্জন ২৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৮২ টাকা। তাঁর স্ত্রী ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে উপার্জন করেছেন ২ লক্ষ ৩৩০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব বলছে, মদন মিত্রের নামে প্রায় এক কোটি টাকা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মদনের নামে গচ্ছিত আছে যথাক্রমে ৩৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ২৪১ টাকা ৪৯ পয়সা, ১১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬২১ টাকা ১৯ পয়সা, ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৩ টাকা ১ পয়সা, ১৫ হাজার ৬৬৬ টাকা ৫৬ পয়সা, ২১ লক্ষ ৭১ হাজার ৬১৯ টাকা ২১ পয়সা, ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৫৫ টাকা, ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৬৭ টাকা এবং ৬ হাজার টাকা। স্থায়ী আমানতের মূল্য ২২ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৮ টাকা। সবমিলিয়ে মোট হয়েছে, ১ কোটি ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৯১ টাকা ৪৬ পয়সা।
মদন মিত্রের স্ত্রী অর্চনা মিত্রের নামে ব্যাংকে আছে যথাক্রমে ৭ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা ৬২ পয়সা, ৬ হাজার ৯১৩ টাকা ৭৯ পয়সা, ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০১ টাকা, ৬০ হাজার ২৭৯ টাকা ৫৫ পয়সা, ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৮৬ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ২৪ হাজার ৭৬৪ টাকা। সব মিলিয়ে অর্চনা মিত্রের নামে ব্যাংকে রয়েছে ১৬ লক্ষ ৭২ হাজার ২৪৫ টাকা ৮৩ পয়সা। ব্যাংকের পাশাপাশি জীবনবিমায় মদন মিত্র বিনিয়োগ করেছেন ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মদন মিত্র কামারহাটিতে ভোটে লড়াই করলেও, প্রচারে অবশ্য তিনি নানা জায়গায় যাচ্ছেন। যার জন্য তিনি ব্যবহার করেন গাড়ি। তবে মদন মিত্রের নিজের নামে কোনও গাড়ি নেই। অর্চনা মিত্রের নামে রয়েছে একটি অ্যাম্বাসাডর ও একটি স্করপিও গাড়ি। দুইটি গাড়ির মিলিত মূল্য ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা।
মদন মিত্রের ফ্যাশনের চর্চা নাম করা। কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি থেকে অলঙ্কার, সবটাই তাঁর নজরকাড়া। সেই অলঙ্কারের সোনা-রুপো মিলিয়ে মদন মিত্রের কাছে প্রায় ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার গয়না আছে। তাঁর স্ত্রীর কাছে যে অলঙ্কার আছে, তার মূল্য ৯ লক্ষ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। মদন মিত্রের বাড়ি অবশ্য দু’টি। ডায়মন্ড হারবার রোডের বাড়িটি নিজের নামে। ধীরেন্দ্রনাথ বসু রোডের বাড়ি যেখানে বেশিরভাগ সময় তিনি থাকেন। সেই বাড়ির মালিকানা অবশ্য তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে রয়েছে। তবে মিত্র পরিবারের নামে কোনও ব্যাংক ঋণ নেই। যদিও মদন মিত্রর নামে রয়েছে ৬টি মামলা।