পল্লবী ভাওয়াল, এইকাল নিউজ:
নৈহাটি ও হালিশহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় যশ এর আগেই ফার্নেল ঘূর্ণী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল চুঁচুড়া,হালিশহর ও নৈহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হল কয়েক শতাধিক ঘর বাড়ি। নৈহাটি থানা এলাকার জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক। এছাড়াও হালিশহরের বিস্তীর্ণ এলাকা ও হাজিনগর এলাকার বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ল মাত্র মিনিট খানিকের ফার্নেল ঘূর্ণী ঝড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বালিভাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ প্রসাদনগর এলাকার বহু ঘরবাড়ি।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ রাজ্যে ঘূর্ণী ঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু আচমকা মঙ্গলবার বিকেলে চুঁচুড়া, নৈহাটি ও হালিশহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মিনিট খানেকের ফার্নেল ঘূর্ণী ঝড়ের ভেলকিতে বেহাল কয়েকশো পরিবার।
তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা এই চকিৎ ঘূর্ণী ঝড়ে শয়ে শয়ে মানুষের ঘরের টালি ও টিনের চাল উড়ে গেছে। বহু কাঁচা বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু গাছ উপড়ে মাটিতে পড়ে গেছে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের পোস্ট। ফলে ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আচমকা কোথা থেকে এই ঘূর্ণিঝড় কেনই বা আবহাওয়া দপ্তর আগাম পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হল তা ভেবেই পাচ্ছে না কেউ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বালিভাড়ায় ঝড়ের তান্ডবে তিনজন আহত হয়েছেন। ৫০ টি বাড়ি খতিগ্রস্হ হয়েছে।
যুদ্ধ কালিন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ চলছে। তিনটি ইলেকট্রিক বিভাগ কাজ করছে। খবর পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও পুরপ্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায়। জেঠিয়ার প্রধান ও উপপ্রধান সহ সব স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে এই আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই এলাকার আকস্মিক ঘূর্ণী ঝড়ে চার পাঁচজন সামান্য আহত হয়েছেন।