শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:
পরাজয় কী মারাত্মক জিনিস তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তৃণমল থেকে জার্সি বদল করা বিজেপির প্রার্থীরা।
ভোটের আগে পাওয়া কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবলয় উঠে যেতে চলেছে তৃণমূল ফেরত পরাজিত বিজেপি প্রার্থীদের। অথচ ভোটের আগে এই জার্সিবদলুদের হেভিওয়েট প্রমাণ করার তাগিদেই কেন্দ্রীয় to নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তাছাড়া তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতারা যে খুব সুখে নেই তা রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূল ত্যাগী বাচ্চু হাঁসদা তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহী বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা বুধবার মন্তব্য করেছেন ‘আমি এখন আর মন্ত্রী নই’। শুভেন্দুর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা হতাশার গন্ধ পাচ্ছেন। রাজ্যসরকারের প্রতি আস্থাভাজনের নরম সুর শোনা যাচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও।
ইতিমধ্যেই ভোটে হেরে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন একসময় দলনেত্রীর ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ। একই পথের পথিক হয়ে ফের তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহী দীপ্যেন্দু বিশ্বাস। ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরে তিনিও ফের তৃণমূলে ফিরতে চান বলে খবর। মালদা হাবিবপুরের তৃণমূল ত্যাগী সরলা মুর্মুও বিজেপির পতাকা ফেলে তৃণমূলে ফিরতে আগ্রহী বলে সূত্রের খবর। দিন যত এগোচ্ছে তৃণমূলে ফিরে আসার এই লাইন তত লম্বা হচ্ছে।
ভোট মিটে গিয়েছে। যে সমস্ত নেতাদের ডেকে ডেকে এনে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল তাঁদের অধিকাংশই ভোটে হেরেছেন। এমনকী টালিগঞ্জের বেশ কিছু নায়ক-নায়িকাকে রাতারাতি দলে নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছিল। হিরন ছাড়া বাকি সকলেই হেরেছেন।
তবে হেরে যখন গিয়েছেন, দলের কাছে আর কোন দাম নাই এঁদের। তাই বিজেপি রাজ্য নেতাদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যেসব নেতারা হেরে গিয়েছেন অবিলম্বে তাঁদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবেষ্টনী যেন কেড়ে নেওয়া হয়। দলে এঁদের এখন কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ-এর নামও।