শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:
এবারের বিধানসভা ভোটে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবারই আক্রমনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিনি। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল থেকে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সব কটি আসনে জিতে বাজিমাত করেছেন তিনি। তৃণমূলের কোনও হেবি ওয়েটের প্রচার ছাড়াই এই বড় জয় ছিনিয়ে এনে প্রমাণ করেছেন নিজের যোগ্যতা। শুধু নিজের জেলা নয় প্রচার করেছেন গোটা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূল পার করেছে 200র গণ্ডী। আর এবার তারই জেরে দল দিল আরও গুরুদায়িত্ব। তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে অভিষিক্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর ছেড়ে যাওয়া রাজ্য তৃণমূল যুব সভাপতি পদে বসতে চলেছেন আসানসোল দক্ষিণের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ।
গোড়া থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়। তিনি দল ছাড়ার পর ওই পদে সুব্রত বক্সিকে মনোনীত করেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার দলীয় সংগঠনকে আরও সক্রিয় করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতেই তরুণ তুর্কী অভিষেকের সর্বভারতীয় রাজনীতির ময়দানে রাজকীয় অভিষেক হল বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।
শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি করা হল ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আইএনটিটিইউসি-র জাতীয় সভানেত্রী করা হল দোলা সেনকে। কালচারাল সেলের প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে রাজ চক্রবর্তীকে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের ‘বঙ্গজননী’ বাহিনীতে তুলে আনা হল জুন মালিয়া এবং লাভলী মৈত্রকে। আর ‘বঙ্গজননী’-র সভানেত্রী হলেন সংসদ মালা রায়।
রদবদল করা হল তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে। দলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আনা হল কুণাল ঘোষকে। সম্পাদক হলেন বেচারাম মান্না, প্রদ্যোত ঘোষ, অসীম মাঝি ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য হেলথ মজদুর সেলের প্রধান করা হল পূর্ণেন্দু বসুকে। এছাড়াও দলের রাজ্য স্তরে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হয়েছে।