শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:
করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলা করার জন্য সার্বিকভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি তুঙ্গে বলে জানালেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। আপাতত নিয়ম করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে করোনা টিকাকরনের কাজ চলছে বলে জানালেন পুলিশ কমিশনার। আপাতত ৮০০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানাগেছে।

দিন মজুর থেকে মাছ বিক্রেতা, অটো চালক থেকে কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলা মজদুরদের কোভিড রক্ষাকবচ দিতে তৎপর ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় ১১০০ এবং দ্বিতীয় দফায় ৮০০ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুক্রবার তৃতীয় দফায় মোট চার জায়গায় ৮০০ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হল। নৈহাটি থানার আইসি অরূপ ঘোষের ব্যবস্থাপনায় রাজেন্দ্রপুর মাছবাজার এলাকায় ২০০ জন সুপার স্প্রেডারকে টিকা দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির এসিপি তুষারকান্তি পাঠক, ব্যারাকপুর এক-এর বিডিও সমিত সরকার, মামুদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রিক্তা অধিকারী, উপপ্রধান হারানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক সুশ্বেতা ভট্টাচার্য।

এদিনই এই পুলিশ কমিশনারেটেই জগদ্দল থানার ব্যবস্থাপনায় দিনমজুরদের জন্য ভ্যাকনিসেন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। ভ্যান চালক থেকে শুরু করে পরিচারিকা, অটো ও টোটো চালক এবং কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের উদ্বোধনও করেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, জগদ্দল থানার আইসি প্রদীপ কুমার ডান, এসিপি-জগদ্দল সুব্রত মন্ডল, পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধান চৈতালি কর্মকার ও তারক নাথ আদক।

পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে এই অতিমারীর রুখতে করোনা টিকাকরণ আগামী দিনেও চলবে। তাছাড়া চলতি মাসেই আরও বেশকিছু অক্সিজেন পার্লার তৈরি হবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
