শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:

তিন জনেরই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। তিনজনেই দলের শুরু থেকে এবং দলের দুর্দিনে দলের সঙ্গে রয়েছেন। এবার তাই দল তাঁদের দিল যোগ্য সম্মান।

নৈহাটি শহর তৃণমূলের সভাপতি হলেন সনৎ দে। হালিশহর টাউন তৃণমূলের সভাপতি হলেন প্রবীর সরকার এবং কাঁচড়াপাড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি হলেন খোকন তালুকদার।
নৈহাটি শহর তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন যুব সভাপতি সনৎ দে বলেন, “আজ বঙ্কিমঞ্জলি স্টেডিয়ামে বসে আমার বিধায়ক পার্থ ভৌমিক আমাকে প্রথম জানালেন, ‘দল এর তালিকা প্রকাশ হয়েছে। আজ থেকে নৈহাটি শহর তৃণমূলের নতুন সভাপতি তুই।’ আজ থেকে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। দলে আমার যারা সিনিয়র নেতা ও কর্মী আছেন তাঁদের সকলের আশীর্বাদ কমনা করি। দলের সকলের সহযোগিতা নিয়ে আগামীদিনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করতে চাই।”
১৯৮৬ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সনৎ দে। এরপর ১৯৯৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে দেশবন্ধু উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথমবার দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের কর্মী। ২০০৩ সালে নৈহাটি টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবর সভাপতি হন সনৎ দে। ২০১৫ সালে ভোটে জিতে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য হন। ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে নৈহাটির ভোট পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন সনৎ দে। এবার দল তাঁকে দিল আরও বড় দায়িত্ব।

হালিশহর টাউন তৃণমূলের নব নিযুক্ত সভাপতি প্রবীর সরকার বলেন, ” হাফপ্যান্ট পরি তখন। যেহেতু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। আমার বাড়িতে দাদা, বাবা সবাই কংগ্রেস করতেন। কংগ্রেসের মিছিলে হাঁটতাম তাই কিশোর বয়স থেকেই। ১৯৯৮ সালে দলের জন্মলগ্ন থেকে দল করি। আমার আদর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০২ সালে হালিশহর টাউন তৃণমূলের যুব সভাপতি হয়েছিলাম। তৃণমূলে আমার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বীজপুরের তৃণমূল নেতা সুভাষ রাহা। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমাকে নির্বাচন কমিটির কনভেনার করা হয়েছিল। দল কোনও দায়িত্ব দিলে তা পালন করার চেষ্টা করি। এবার দায়িত্ব আরও বাড়ল।”
রাজনৈতিক কাজ করার পাশাপাশি প্রবীর সরকার সমাজসেবী হিসাবেও সারাবছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়জিত থাকেন। তাঁর সঙ্গে হালিশহরের পুরোনো দলীয় কর্মীদের সদ্ভাব রয়েছে। হালিশহরের প্রাক্তন যুব সভাপতি প্রণব লোহ বলেন, “প্রবীর সরকার লড়াকু নেতা। কর্মী দরদী। দল যোগ্য মানুষকেই সভাপতি করেছে।”
অন্যদিকে টাউন কাঁচড়াপাড়ার সভাপতি হয়েছেন খোকন তালুকদার। তিনিও দীর্ঘদিনের নেতা। দলের দুর্দিনেও তিনি দল ছাড়েননি। বীজপুর বিধানসভার দুই দলীয় সভাপতির নেতৃত্বে পুরোনো কর্মী ও সমর্থকরা ফের সক্রিয় হবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

