
২০০৪ সাল। আনন্দবাজার পত্রিকার অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সাব এডিটর সুজন চন্দ। তখন ‘সময় অসময়’ খবরের কাগজে আমি নিয়মিত প্রতিবেদন লিখি। একদিন সুজনবাবুর পত্রিকার একটি বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য আমি আর সাংবাদিক সুশ্বেতা ভট্টাচার্য গেলাম টলিপাড়ার একটি স্টুডিওতে। বুম্বাদা তার কিছুদিন আগেই একটি ক্যারা ভ্যান কিনেছেন শুটিং এর সুবিধার জন্য।
বুম্বাদার অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওটাই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। সেদিন বিলাসবহুল ক্যারাভ্যানে উঠে আমরা খুব অল্প সময় হলেও বুম্বাদার সঙ্গে বিষয় ভিত্তিক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম।
এর কয়েক বছর পর শ্যামনগর সবুজ সংঘের মাঠে খেলতে এসেছিল টলিউড একাদশ। প্রখ্যাত ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের উদ্যোগে ওই চ্যারিটি ম্যাচ কভার করতে গিয়ে জিৎ সহ একঝাঁক টলিউড স্টারদের ইন্টারভিউ করতে গিয়ে পেয়েছিলাম টলিউডের মধ্যমণি বুম্বাদাকে। আমার Sony সাইবার শর্ট ডিজিটাল ক্যামেরায় বন্দী করেছিলাম বুম্বাদার বেশ কিছু বিরল মুহূর্ত। ফুটবল পায়ে বুম্বাদার একটি বিরল ছবি আজও কম্পিউটার বন্দী আছে।

দুবছর আগে বাংলা ছবি ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’ এর গানের প্ৰমশন এর একটি অনুষ্ঠানে কুমার শানুর ডাকে পৌছেছিলাম। সেখানেও সেদিন ব্যাক স্টেজে খোস মেজাজে পেয়েছিলাম বুম্বাদাকে।
আমি ‘নাইনটিস কিড’। আমার জ্ঞান হওয়ার পর দুজন বাঙালির ভক্ত ছিলাম। একজন জীবন্ত কিংবদন্তি গায়ক কুমার শানু আর অন্যজন অবশ্যই টলিউডের ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
আজ বুম্বাদার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বুম্বাদা। এইভাবেই তুমি চির সবুজ হয়ে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অধিনায়ক হয়ে থেকো এই কামনা করি।
