শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:
সূত্রের খবর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) তৃণমূলে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে টিকিট না দেওয়ার পথেই হাঁটতে পারে দল। পরিবর্তে ভিন্ন পরিবার থেকে নতুন মুখ(New Candidates) তুলে আনা হতে পারে। যদিও এই ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত নীতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত দলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাঁধেই তুলে দেওয়া হয়েছে।
হিসাব মতো ২০২৩ সালের মে মাস নাগাদ রাজ্যের পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই সময় ৮২৫টির মতো জেলা পরিষদের আসনে, ৯২১৭টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবং ৪৮৬৫০টির মতো গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্ষা মিটলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের পঞ্চায়েত আইন অনুসারে রাজ্য সরকার এই নির্বাচন ৬ মাস এগিয়ে আনতে পারে বা তা পিছিয়ে দিতে পারে। সেই সূত্রেই রাজ্য সরকার ২০২৩ সালের মে মাসে হতে চলা নির্বাচন্কে ৬ মাস এগিয়ে এনে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেলে দিতেই পারে। নবান্ন সূত্রেও জানা গিয়েছে, উত্সব মরশুম শেষ হলেই অর্থার রাসপূর্ণিমার পরে পরেই হয়তো রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এই বিষয়ে রাজ্যের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তই নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই এই বিষয়ে এগোবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আর সেই নির্বাচন ঘিরে প্রাথমিক প্রস্তুতির পালা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। আর সেই সূত্রেই জানা গিয়েছে, এবারে কোনও পরিবারেরই একাধিক সদস্যকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করা নাও হতে পারে। পরিবর্তে অনেক নতুন মুখ তুলে আনা হতে পারে। জোর দেওয়া হবে মহিলা ও তরুণদের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের প্রার্থী করার ওপর জোর দেওয়া হতে পারে। যদিও এই বিষয়েও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও গৃহীত হয়নি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী পদের ক্ষেত্রে যে এবারে তৃণমূল কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনবে এটা নিশ্চিত।