এইকাল নিউজ:

সেচ ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী হলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। নৈহাটির গর্বের মুকুটে যুক্ত হল নতুন পালক।
আজ মন্ত্রিসভার রদবদলের পর মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন এক গুচ্ছ নতুন মুখ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন মন্ত্রীরা। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল লা গনেশন।
২০১১ সালে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথমবারের জন্য তিনি বিধায়ক হন। এরপর পরপর 2016 ও 2021 সালে দুবার নৈহাটি থেকে তিনি জয়লাভ করেছেন। এবার তিনি এলেন মন্ত্রিসভায়। শপথ গ্রহণের পর সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখলেন পার্থ ভৌমিক।
সপথ নেওয়ার পর পার্থ ভৌমিককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁকে কোন দপ্তর দেওয়া হবে? সে বিষয়ে কি তিনি কিছু জানতে পেরেছেন? এর জবাবে পার্থ ভৌমিক জানান, ‘এটা নিয়ে আমাদের কোন উত্সাহ নেই। দলনেত্রী যতটুকু দায়িত্ব দেবেন ততটুকু ১০০% মানসিকতা নিয়ে করার চেষ্টা করব। দলনেত্রীর নির্দেশ পালনই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ’। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এবারের মন্ত্রিসভায় কি নবীনদের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে? এর উত্তরে তিনি জানেন, ‘এটা ভালো বলতে পারবেন দলনেত্রী। এটা ওনার জুরিসডিকশন। উনি ঠিক করেছেন, কী করবেন, না করবেন। একটা কথা তিনি বারবার বলছেন, তিনটে প্রজন্ম তৈরি করে দিয়েছি, এটা ওনার ভাবনা।’
দলে ও প্রশাসনে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাব বাড়ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াইটা ২০২১ সালে লড়েছেন, বাংলার কোন মানুষ সজ্ঞানে তাঁকে অস্বীকার করতে পারবেন না। কেউ বিরোধিতা করার জন্য অস্বীকার করতে পারে, কিন্তু সজ্ঞানে করতে পারবেন না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রণকৌশল তৈরি করে আমরা লড়াই করেছি। বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ বাংলায় নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সেনাপতিও আজকে বাংলার অন্য কোন দলে, অন্য কোন জায়গায় নেই।’