এই কাল নিউজ, নৈহাটি:

ক্রমশ গলায় ফাঁসের মতো চেপে বসছিল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। বিয়ের জন্য চাপ বাড়ছিল প্রেমিকার পক্ষ থেকে। কিন্তু কিছুতেই নিজের বিবাহিত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে নারাজ যুবক। আর এই নিয়ে বচসার মাঝেই রাগের মাথায় প্রেমিকাকে খুন করলেন যুবক। থানায় আত্মসমর্পণ করে ওই যুবক তেমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে, জেঠিয়া থানার অন্তর্গত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া স্টার হোটেলে। যুবকের কথার ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে হোটেলের বন্ধ ঘরের তালা খুলে শৌচালয় থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সুমন সাহা। বাড়ি হালিশহর থানার প্রসাদনগরে। অন্যদিকে, মৃত যুবতী কোচবিহারের বাসিন্দা। অবিবাহিত ওই যুবতীর নাম সোমা মণ্ডল (২৭)। পুলিশি জেরায় হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি সোমা মণ্ডলের নামে হোটেলের একটু ঘর বুক করা হয়। সেই থেকে সোমা ও সুমন ওই হোটেলেই ছিলেন। বুধবার বিকেলের পর তাঁদের আর দেখা যায়নি। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তবে দুজনের মধ্যে কোনোও অশান্তির আঁচ পাননি বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন হোটেলের কর্মীরা। এদিকে, ধৃত সুমনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বিবাহিত সুমনের। ক্রমশ তাঁকে বির্ম্যে করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সোমা। কিন্তু কোনো ভাবেই নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না সুমন। হোটেলের ঘরে এই নিয়ে তাঁদের কথা কাটাকাটিও হয়। সেই বচসার মাঝেই রাগের মাথায় শ্বাস রোধ করে সুমন সোমাকে খুন করে ফেলেন বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। তাঁর দাবির সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সুমনের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও বারবার ব্যারাকপুর-কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ের ধরে নানা অসাজিক কাজের অভিযোগ উঠেছে। বার কম রেস্টুরেন্ট গুলি দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ। মাঝে মাঝে পুলিশি ধরপাকড়ও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যে বদলায়নি সোমার মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিয়ে গেল বলেই মনে করছেন এলাকার মানুষ।