শোভনলাল রাহা, এইকাল নিউজ:

বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বারবারই বলেন, আন্দোলন লগ্নে তাঁর জন্ম। আপসহীন আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজ্যের বিরোধী নেত্রী হিসেবে তাঁর ঐতিহাসিক উত্থান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন একবজ্ঞা আন্দোলন করতে করতেই তিনি রাজ্যের শাসকদল সিপিএমের ৩৪ বছরের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করেছেন। ২০১১ সালে রাজ্যে ঐতিহাসিক পালা বদলের মাধ্যমে তিনি বসেছেন বাংলার মসনদে।
ধরনা এবং আন্দোলনের অপর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একথা তিনি আর একবার প্রমাণ করে ছাড়লেন। কথায় আছে ঠেলার নাম বাবাজি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ও দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার পরেই বকেয়া টাকার অংশ দিতে কার্যত বাধ্য হল কেন্দ্র। বঞ্চনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনায় বসতেই সুড়সুড় করে শিক্ষার বরাদ্দ ছেড়ে দিল দিল্লি। ‘মিড-ডে মিল’ ও ‘সমগ্র শিক্ষা মিশন’ খাতে ১২০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ পেল রাজ্য। তবে সেটাও প্রকৃত বরাদ্দর সামান্যই।
এই দুই খাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠায় তার দ্বিতীয় কিস্তি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে মিড ডে মিলের ৬৩৮ কোটি ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের ৫৭৬ কোটি টাকা রয়েছে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সম্প্রতি ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধরনার পরই রাজ্যকে এই দুই খাতে বরাদ্দকৃত টাকা পাঠালো কেন্দ্র। যা রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে তবে ১০০ দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনায় এখনও রাজ্যের বরাদ্দ অধরাই রইল।